প্রচারণা শেষ;অপেক্ষার প্রহর গুনছেন প্রার্থীরা

আমানুল্লাহ (রাজশাহী প্রতিনিধি) :

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটছে যাচ্ছে আগামীকাল। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীরাও চালিয়েছেন জমজমাট প্রচারণা। গত মধ্যরাতে তার অবসান ঘটলেও সকলের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি প্রত্যেকটি কেন্দ্রের দিকে। কেননা, রাজশাহীর মোট ১৩৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র যে ১১৪টি! এদিকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) প্রার্থীদের মধ্যেও হয়েছে কাদা ছুড়াছুঁড়ি। বিভিন্ন পদে সর্বমোট ২১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মেয়র পদে মোট পাঁচজন প্রার্থীর মূলত দুই জনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা হলেন- আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। দুজনই এর আগে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র থাকাকালীন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলেও সদ্যবিদায়ী মেয়র বিএনপি নেতা বুলবুল অধিকাংশ সময় ছিলেন দায়িত্বের বাইরে। একাধিকবার বরখাস্তর ফলে সিংহভাগ সময়ই ছিলেন নগর ভাবনের বাইরে। পাঁচজনের অন্য তিন প্রার্থীদের মধ্যে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা না থাকলেও তারাও সার্বিক প্রচারণা সম্পন্ন করেছেন। তারা হলেন- ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন (চরমোনাই পীর) সমর্থিত শফিকুল ইসলাম (হাতপাখা), গনসংহতি আন্দোলনের এডভোকেট মোঃ মুরাদ মোর্শেদ (হাতি) এবং স্বতন্ত প্রার্থী হাবিবুর রহমান (কাঁঠাল)। নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রচারণাকে নিয়ে বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে নানা রকম অভিযোগ উঠলেও তা উড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগ। গতকাল প্রচারণার শেষ সময়ে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। প্রয়োজনে কেন্দ্র দখল, নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করার কথা উল্লেখ করেন। তবে তার এই বক্তব্য হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। অবশ্য এর আগে লিটনও ভোটকেন্দ্র নিজেদের দখলে নেয়ার কথা ঘোষণা করেন।এবং জামায়াত -বিএনপি কেন্দ্র দখল করতে না পারে সেজন্য দলীয় কর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান। উল্লেখ্য, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মোট ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ১৬০ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে লড়ছেন ৫২ জন মহিলা প্রার্থী। এবার মোট ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৫ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৫৩ জন। প্রসঙ্গত, রাজশাহীতে মোট ১৩৮ টি কেন্দ্র ভোটগ্রহন হবে। তার মধ্যে ১১৪ টি কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ বলে বিবেচিত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো ব্যবহার হবে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন। নগরীর ২২নং ওয়ার্ডে এই মেশিন বসানো হবে। প্রচারণাও শেষ; নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত। নিজেদের মতামত দিতে প্রস্তুত ভোটাররাও। প্রার্থীরা তাকিয়ে আছেন ভোটারদের দিকে। অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা। সাংগঠনিকভাবেও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন দেখার বিষয় কে বিজয়ী হন? বিজয়ী হয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কতটা রাজশাহীর উন্নয়ন এবং জনগনের সেবা করতে পারেন? লাখো নগরবাসীর সেটাই প্রত্যাশা।।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment